কেশবপুর পৌর শহরে ও আবাসিক এলাকা সহ উপজেলার বিভিন্ন হাট’বাজারে গ্রাম পাড়া মহল্লায় ভিক্ষুকের ছড়াছড়ি হয়েগেছে। ভিক্ষুদের ভীড়ে শহরের ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। শুক্রবার সহ বিশেষ বিশেষ দিনে এদের ভীড় বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীদের মন্তব্য তারা ভিক্ষা করে অভাবে না এটা তাদের স্বভাবে।
আরোও পড়ুন:
মধুখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার যোগদান
ঘাটাইলে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও নগদ অর্থ প্রদান
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ডব্লিউএইচও
কেশবপুর পৌরসভার আবাসিক এলাকা ও বানিজ্যিক এলাকা ঘুরে একাধিক তথ্য সুত্রে জানা গেছে সম্প্রতিকালে কেশবপুরে ভিক্ষুকের আনাগোনা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। সুস্থ সবল এক শ্রেণীর মানুষ পূর্ব আকাশে সূর্য্য উকি দেওয়ার আগেই স্বভাব শ্রেণীর ভিক্ষুকরা শহরের আবাসিক এলাকায় মানুষের বাসার দরোজায় হাজির হয়ে কারোর স্বামী নেই, কারোর মেয়ের বিয়ে, কেউ অসুস্থ, কেউবা অভাবি চলতে অক্ষম তাঁরা ভিক্ষা না চেয়ে সাহায্য চায়। শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার আগে ভাগেই এই শ্রেণীর ভিক্ষু হাজির হয় তাদের প্রতিষ্ঠানে। দোকানে বেচাবিক্রি শুরু হওয়ার আগেই ভিক্ষুকের ছড়াছড়িতে তারা ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
এব্যাপারে আবাসিক এলাকার এক চাকুরীজীবী পরিবার বলেন “ভোর বেলায় নামাজ-কালাম শেষে সকালে অফিসে যাওয়ার তাড়া থাকে। তার মধ্যে সকালেই ভিক্ষুক দরজায় হাজির হয়ে যায়”। সাগরদাঁড়ি বাজারে মৌ ইলেকট্রিক এর মালিক, মোস্তফা কামাল জানান সকাল থেকেই সারাদিন সহ রাত ৮ টা পর্যন্ত, একের পর এক সাহায্য নিতে আসে, কখনো একে একে আবার কখনো দল বেধে,এমন কি একই ব্যাক্তি দুই থেকে তিন বার আসেন।লক্ষ করে দেখা যায় অধিকাংশ ব্যক্তিই কর্ম করে খাওয়ার যোগ্য, কিন্ত সেটা না করে তারা ভিক্ষা করছেন,এটা আসলেই কি ভিক্ষা, নাকি ভিক্ষার ছলে ব্যবসা?
এদের কারনে প্রকৃত যায়া ভিক্ষা বা সাহায্য পাওয়ার যোগ্য তারা পাচ্ছেন না, শহরের মদিনা ইলেক্ট্রনিক্স-মালিক হাজী রুহুল কুদ্দুস বলেন “সকালে দোকান খোলার পর এখনো বিক্রি করতে পারেনি এরমধ্যে ভিক্ষুকের ভিড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি”। এই সকল ভিক্ষুক শুধু কেশবপুরের না অনেকেই বাইরের থেকে আসে। আর এরা অধিকাংশ ভিক্ষুক মহিলা তাদের স্বামীরা কাজে যায় আর তারা ভিক্ষা করতে আসে। তারা অভাবে ভিক্ষা করে না ভিক্ষা করে স্বভাবে ।
আরোও পড়ুন:
ভিসার নিয়মে পরিবর্তন এনেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।